সাহেদ আরো ২৮ দিনের রিমান্ডে

রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে প্রতারণা ও আত্মসাতের চার মামলায় মোট ২৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম ও উত্তরা পূর্ব থানার এই চার মামলায় ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী রোববার প্রত্যেক মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় রিমান্ড শেষে র্যাব সাহেদকে সকালে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। সাহেদের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলেও বিচারক তা নাকচ করে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার পৃথক তিন মামলায় এবং উত্তরা পূর্ব থানার এক মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা-র্যাব। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক মামলায় সাত দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। পরে তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।